শাটারে হাত দিলেই ইয়াশিকা বলে উঠত, 'ক্লিক ক্লিক'। দাদা বলত, 'ওটা ক্যামেরার ভাষা। আসলে বলতে চাইছে, ঠিক ঠিক।' ইয়াশিকা ঠিক ঠিক করে আমাদের ফ্রেমে ধরত। আর ক্লিক ক্লিক করে ছবি তুলত। আমাদের মধ্যে ওই একমাত্র জাপানি। থাকে পাইন কাঠের বাক্সে। বাবা আমাদের দাঁড় করাতো আলোছায়ায়। ধূসর বিকেলের কোনো এক রাস্তায়। হারিয়ে যাওয়া সকালের কোনো এক উঠোনে। উনুনের ধোঁয়ায় চোখ জ্বললে। মিঠাই বরফ টিং টিং করে ঘন্টা বাজিয়ে জানলার সামনে এলে। কারেন্ট অফের অন্ধকারে গল্প বাঁধতো। সেইগুলো বেশ কিছুটা জানতো ঘুলঘুলিতে বাসা করা চড়াই দুটো। তাদের কিচকিচ করতে থাকা ছানা দুটো। শেষ দুপুরে রোদে শুয়ে কুটুস কুটুস ল্যাজ নাড়া মিনিটা। আর অনেকটা জানতো ইয়াশিকা ক্যামেরা।