ধরা যাক 'হজরত মোহাম্মদ'-এর রচয়িতা রামপ্রাণ গুপ্তর কথা। যিনি লিখছেন, "হিন্দু ও মুসলমান বঙ্গের প্রধান অধিবাসী। দুঃখের কথা হিন্দু মুসলমানে তেমন সম্ভাব নাই। হিন্দু মুসলমানকে যবন বলিয়া ঘৃণা করেন। হিন্দু যদি জানিতেন বেদান্ত যে এক পরব্রহ্মকে মানবের উপাস্য বলিয়া গিয়াছেন, কোরাণও সেই পরব্রহ্মকে মানবের একমাত্র উপাস্য বলিয়া ঘোষণা করিয়াছেন, তবে এত অসদ্ভাব দেখিয়া দুঃখিত হইতে হইত না।... সে জীবন আলোচনা করিলে আত্মার কল্যাণ হয়, মুসলমানদিগের প্রতি হিন্দুর যে আজন্মসিদ্ধ অশ্রদ্ধা আছে তাহা তিরোহিত হয়। পক্ষপাতশূন্য হইয়া মহম্মদের জীবন অনুশীলনে আমি উপকৃত হইয়াছি, আমার স্বদেশবাসী নরনারীগণ তাহা পাঠ করিলে উপকৃত হইবেন, এই আশাতেই এই পুস্তক প্রকাশ করিলাম।" বাঙালি হিন্দুর রসুল-চর্চা কোনও একটি ধর্মের নয়, বরং পরমতসহিষ্ণুতার উদযাপন। যে সহিষ্ণুতা আমাদের সহজাত। বরং অসহিষ্ণুতা বহিরাগত এবং আরোপিত। এই সত্যিটা আরেকবার বলবার জন্য এই বইটির প্রকাশ জরুরি ছিল। বিশেষ করে আজকের আবহে।