'বাসমতীর উপাখ্যান' উপন্যাসে অধ্যাপক প্রভাস সেনের ছেলে ও মেয়ের নাম দপ্তরী ও কুড়নি। রবি ঠাকুরের মাল্যদান-এর কুড়ানির স্মৃতি মনে রেখেও এ'রকম নাম কেমন অবিশ্বাস্য মনে হয়, হোক না যতই ওপার বাংলার অনামী এক জনপদের গল্প। সে আখ্যানের শেষ দিকে এক মারাত্মক ঝড়জলের রাতে সন্ধের পরেও সেই দপ্তরী ও কুড়ুনি বাড়ি না ফেরাতে এক ভয়ঙ্কর সমবেত উদ্বেগের পরিস্থিতি আঁকা হয়। অথচ উপন্যাস শেষ হয়ে গেলেও কোথাও পাওয়া গেল না, দপ্তরী ও কুড়ুনি ফিরল কি ফিরল না। এমনই আনমনা, অপ্রত্যাশিত জীবনানন্দের এই কুহেলি-ভুবন। তাঁর উপন্যাস অন্য এক গদ্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে আমাদের আজন্মলালিত বাংলা পাঠের অভিজ্ঞতা, অভ্যাসকে চুরমার করে দেয়।