দেহসাধকেরা বলেন, মাছ নিরাশ্রয়ী স্বভাবের। বন্যা হলে সে খাল বিল থেকে নদী হয়ে গিয়ে পড়ে সমুদ্রজলে। মানুষের শরীরখানাও মাছের মতনই নিরাশ্রয়ী স্বভাবের। গুরু তাতে প্রাণের বাসনা পুরে দেন। সেই বাসনা নিয়েই দেহখানাকে আশ্রয় করে বেঁচেবর্তে থাকা। সাধনা করা। এই বইতে ধরা রয়েছে দুই বাংলার আউল বাউল, পির ফকির, গুরু মুর্শেদ, দরবেশ - সহজিয়া, সুফি- মরমিয়া, লালনপন্থী - কর্তাভজা, বলরামভজা - ভগবানিয়া, জাতবৈষ্ণব - সাহেবধনী, তান্ত্রিক যোগিদের সাধনপন্থা, দেহশৈলীর গুহ্য গোপন তরিকা। চব্বিশ বছর ধরে দুই বাংলা জুড়ে লেখকের পদচারণায় অতীত ও বর্তমান নিয়ে এ এক সরেজমিনে দেহসাধকদের বিচিত্র ধারার সাধন আচরণের অত্যাশ্চর্য কথিকা।