গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট সমূদ্রগুপ্ত প্রয়াত হয়েছেন। অভ্যন্তরীণ গোলযোগ ও শক আক্রমণে সাম্রাজ্য দুর্বল। সিংহাসনে আসীন সমুদ্রগুপ্তের জ্যেষ্ঠপুত্র রামগুপ্ত। অপরিণামদর্শী রামগুপ্ত শক আক্রমণ থেকে সাম্রাজ্য রক্ষার জন্য সম্ভব-অসম্ভব বিভিন্ন শর্তে প্রতিশ্রুত হচ্ছেন। এমনকী শত্রুর হস্তে স্বীয় পত্নী, ধ্রুবাদেবীকে সমর্পণের শর্তেও। ষোল শতাব্দী আগে ভারতবর্ষের ভৌগলিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক মানচিত্র কিন্তু এখনকার চেয়ে অনেক পৃথক। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান- বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান- তখনও শৈশবে। মানুষ ক্ষমতা ও প্রবৃত্তির প্রশ্নে হয়তো অনেকটাই অদিমতর ছিল। কিন্তু প্রেম- প্রীতি, হিংসা-দ্বেষ, বিবেক ও প্রজ্ঞার মানবিক সমীকরণগুলো বোধহয় খুব আলাদা ছিল না। হয়ত বা মূল্যবোধে ছিল কিছু অতিরিক্ত দায়বদ্ধতা। সেই ষোল শতক পূর্বের ঝাপসা অতীতে রামগুপ্ত, ধ্রুবাদেবী এবং সমুদ্রগুপ্তের কনিষ্ঠ পুত্র দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তকে কেন্দ্র করে কীভাবে রচিত হলো বিচিত্র সমীকরণ, যেখানে এসে কীভাবে মিলে গেল অজ্ঞাতকুলশীল অকম্পনের ভাগ্য- হিংসা-প্রেম, হাসি-কান্না, স্বার্থ-আদর্শের যন্দের আবর্তে শৌর্যময় মানবিকতার এক রুদ্ধশ্বাস রম্য-আলেখ্য এই উপন্যাস।