এডওয়ার্ড লিয়র-এর জন্ম ১৮১২-এ, লন্ডন- ঘেঁষা হলোওয়েতে। বাড়ির অবস্থা সচ্ছল বা স্থিতিশীল ছিল না, ফলে আলাদাভাবে তাঁকে নিয়ে মানুষ করেছিলেন তাঁর একুশ বছরের বড় দিদি অ্যান। ছোটবেলা থেকে এডওয়ার্ড নানা দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভোগেন, আর বয়সের সাথে-সাথে সেগুলির প্রকোপ বাড়তেই থাকে। কখনো বিয়ে করেননি। কবি টেনিসন সহ অনেক বন্ধু ও গুণগ্রাহী সত্ত্বেও তাঁর জীবনটা ছিল নিঃসঙ্গ ও কিছুটা বিষাদগ্রস্ত। পেশায় লিয়র ছিলেন চিত্রকর, বিশেষত জীবজন্তুর ছবি ও নিসর্গচিত্রের জন্য কিছুটা খ্যাতিও অর্জন করেছিলেন। ছবি আঁকার তাগিদে নানা দেশ ঘুরেছেন, ভারত ও শ্রীলঙ্কাতেও কাটিয়েছেন বছর দুই। তবে শেষ অবধি আস্তানা পাতেন ইতালির উপকূলে সানরেমো শহরে, সুহৃদপ্রতিম পরিচারক জ্যোর্গিস আর প্রিয় মার্জার ফসের সঙ্গে। আজ কিন্তু লিয়রকে লোকে মনে রেখেছে তাঁর হাসি ও উদ্ভট রসের কবিতা, বিশেষত লিমেরিকের জন্য। ইংরেজি ভাষায় অষ্টাদশ শতক থেকেই লিমেরিকের প্রচলন আছে, কিন্তু লিয়রই এই ছোট্ট মজার কবিতাগুলিকে জনপ্রিয় করে তোলেন। কয়েকটি অল্পখ্যাত নিদর্শন বাদে তাঁর লিমেরিকগুলি পাওয়া যায় দুটি সম্ভারে তাঁর প্রথম কবিতার বই 'এ বুক অব ননসেন্স' (১৮৪৬)-এ ১১২টি, তারপর ১৮৭২-এ 'মোর ননসেন্স পিকচার্স, রাইমস্, বটানি এট সেটেরা'-এ ঠিক ১০০টি। দ্বিতীয় বইটিতে অন্য নানা রচনাও ছিল। আর দুটি হাসির বই তাঁর জীবদ্দশায় বেরিয়েছিল, মৃত্যুর পর আরো একটি। এডওয়ার্ড লিয়র মারা যান ১৮৮৮ সালে, সানরেমোতে। সমাধিও সেখানে, তার ফলকে খচিত তাঁর উদ্দেশ্যে লেখা টেনিসনের একটি কবিতা