Ekhani Andha Bandha Karo Na Pakha
Ekhani Andha Bandha Karo Na Pakha
"আমার পিতৃবংশ আদ্যন্ত চাষাভুষো, সে গ্রাম্যতাদোষ আমাদের আজও বিজয় হয়নি।" ভিটের চারপাশে 'বেড়' দেওয়া, গড়খাই টাইপের কিছু, সঙ্গে তার খালের যোগ, নদীর নিজস্ব ঘাট থেকে বাড়ি অব্ধি নারকেলের গাছের সারি। সেই দেশে সম্পন্ন চাষির বছরে দুই আয়ের উৎস নারকেল আর সুপুরি। যার পাশ থেকে মন্দ মন্দ বইছে দড়াটানা নদী। কালকাসুন্দের ঝোপে মিটিমিটি জ্বলছে জোনাকি, আকাশ ভরা তারা, বাঁশের চারের নীচে মাছধরা নৌকো। তাতে লক্ষের আলো। তাড়ি খেয়ে টলমল করে ওঠে গান, আমার নাই বা হল পারে যাওয়া। এই যে গ্রামীণ জীবন, তা থেকে এত দূরে যান্ত্রিকতায় বাস, আসলে এ ভাল না মন্দ। এ ধাঁধা তাঁর কাটতেই চায় না। শিকড় নিয়ে ভাবনার তাঞ্জাম চেপে বসে মাথায়। কোন কোন গাছের শিকড়ে যে কোন নক্ষত্রের প্রাণ বাঁধা থাকে সে তো আসলেই অবাত্মানসোগোচর! তাই তাঁর ইতিহাস নেই, তাঁর সংস্কৃতি নেই, যা আছে, সবটাই শিকড়হীনতার বেদনা, কচুরিপানার মতো ভেসে বেড়ানো, অবশ্য ইতিহাসে মেয়েদের অধিকার কবেই বা ছিল! যেভাবে কুর্চিকা গেঁথে ছবি আঁকেন এক শহরের প্রাণহীন ইতিকথা। সেই বারাসাত লিখতে লিখতে ঢুকে পড়ছেন এক প্রকাণ্ড মশারির মধ্যে, যার নাম মহামারী। শুশ্রুষার প্রতিবেদনে আর নারীর লড়াইয়ের সসেমিরায় দেশনা দেন মানুষকে। চরাচর জুড়ে নেমে আসা ঠান্ডার দিনে সম্পর্কের ললৎ লিপিবদ্ধ করেন গদ্যের সুষমায়।
Ekhani Andha Bandha Karo Na Pakha
Author : Prajnadipa Halder
Publisher : Lyriqal Books