গালিলিও-র আবিষ্কারকে চিহ্নিত করা হয় ইউরোপ জুড়ে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সূচনা হিসেবে। এশিয়া মহাদেশে, বিশেষত অতি উন্নত চীন এবং ভারতবর্ষে, অনুরূপ কোনো বিপ্লব ঘটল না কেন, এটা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক বহু-বিতর্কিত প্রশ্ন। আবার, ভিন্ন এক প্রসঙ্গে বিজ্ঞানের ইতিহাস শুধু আবিষ্কারের ইতিহাস নয়, বিজ্ঞানের দর্শনে ব্যক্তি-নিরপেক্ষতার ইতিহাসও বটে। কোপার্নিকাস কেপলার গালিলিও থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে ব্যক্তি-নিরপেক্ষতার বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রান্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি। বাস্তবতার স্বরূপ সম্পর্কে কথালাপে নিজস্ব মতবাদে অবিচল ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইন। সত্যের সঙ্গে সুন্দরের সমন্বয় দেখতে চেয়েছিলেন সেই অসাধারণ গণিতবিদ হেরমান ভাইল। এসব প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে বইয়ের প্রথমাংশে। দ্বিতীয়াংশে আলোচিত হয়েছে ভারতীয় সংগীতচিন্তা, বাল্মীকিপ্রতিভা থেকে চণ্ডালিকা পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের বিস্ময়কর যাত্রা, সেনিয়া সেতার পরম্পরা, খেয়াল গানের সাম্প্রতিক বিবর্তন। আলোচিত হয়েছে জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র-র অনবদ্য রচনা 'নবজীবনের গান', বাংলা গানের আসরে জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ গোস্বামীর অবদান, বাংলা গানে আধুনিকতার বিষয় এবং এ-রকম আরও কিছু প্রসঙ্গ।