কুন্ডলগড় দুর্গের প্রাচীরটি বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম প্রাচীর। আটটি ঘোড়া পাশাপাশি চলতে পারে এই চওড়া প্রাচীরের ওপর দিয়ে। কুম্ভলগড় দুর্গে চাষবাসও হত। রাতেও। যাতে চাষীরা কাজ করতে পারে সেজন্য। প্রতিদিন ৫০ কেজি ঘি ও ১০০ কেজি তুলো দিয়ে দুর্গপ্রাচীরে বিশাল বিশাল মশাল জ্বালাবার ব্যবস্থা করেছিলেন রাণা গুজরাতপতি বাহাদুর শাহের চিতোর দুর্গ আক্রমণের সময় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন রাণী। জবহর বাই। শত্রুর ছোঁড়া গোলার আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। হাসি মন্তরাতেই মেতে থাকতেন চিতোরের রাণা লক্ষসিংহ। এই মস্করার কারণেই জ্যেষ্ঠ পুত্র যুবরাজ চণ্ডের সিংহাসনে বসা হল না। মৃগয়ায় শশক শিকার করতে গিয়ে আরাবল্লী পর্বতের গিরওয়া উপত্যকায় পিছালা হ্রদের তীরে রাজধানী খুঁজে পেয়েছিলেন মেবারের রাণা উদয়সিংহ। বিয়ের মতো বিয়ে হয়েছিল রাণা দ্বিতীয় সংগ্রাম সিংহের। যৌতুক হিসেবে তাঁর শ্বশুরমশাই মেয়ের সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন মেয়ের ৪৮ জন সুন্দরী সথিকে। ইতিহাস-খ্যাত বিভিন্ন দুর্গের অন্দরমহল ও বাহিরমহলের অজস্র চমকপ্রদ কাহিনিতে সমৃদ্ধ 'ইতিহাসের দুর্গ দুর্গের ইতিহাস'।