Jongolagatha O Rasonabilash
Jongolagatha O Rasonabilash
সেই কবে দূর মহালের কাছারি থেকে আসা হাতিদের গলার ঘন্টায় বেজে উঠত শরতের ছুটির ঠিকানা। রূপকথার খোঁজে বেরিয়ে পড়া স্বআরোপিত বীরব্রত পালনে। শরৎকালের শালজঙ্গল, ভাঙা আনন্দমঠের অবশেষ, সবুজ গাছালিতে ঢাকা গারো-জয়ন্তিয়া পাহাড়, গ্রীষ্মের বিহার ও ওড়িশার ছুলোয়া শিকার, অসমের ঘাসজঙ্গলে হাতিতে চড়ে শিকার, ভারতের সমস্ত বনবাংলোর বিশদ এমন সব টুকরো টুকরো নকশি মণিমাণিক্যে এই বই সেজে উঠেছে অবিশ্বাস্য আমেজী এক কলমের প্রভায়। অধুনালুপ্ত বৈঠকী রম্যতা যার মূলসুর। জনসংখ্যার চাপে পিছু হটেছে অরণ্য, বিবিধ প্রজাতির অরণ্যবাসী প্রাণীর সঙ্গে বিরল হয়ে যাচ্ছেন এই সব মানুষ, যারা প্রকৃত প্রস্তাবে অরণ্যবিলাসী। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছেন একশৃঙ্গ গণ্ডারের মতো। খেলার ছলে ষষ্ঠীচরণ হাতি লোফেন যখন তখন-বাস্তব পক্ষে এই অনায়াস একমাত্র অধীত রয়েছে এই বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মূল হোতার, তাই এই গ্রন্থে সবার উপরে ধ্বনিত হল বন বাঁচাবার আর্তি। ক্রমে ক্রমে আখ্যান ঘন হয়ে ওঠে রসনাবিলাসের। ময়মনসিংহ স্বাদবাহার গীত হয়। আলাপিত হয় কংসের রুই, যমুনার কাতল, পোড়াবাড়ির চমচম, মহাখাসা দই আর মুক্তকেশী বেগুন। এই বইতেই আছে দেশবিদেশের তাবড় খানার হদিশ, আছে গাব খাওয়া বাদুড়ের মাংস, আনারসী খরগোশ বা হাতি রান্নার কেতা দুরস্ত উপাখ্যান। এই বই তাই সমবেত ঐতিহ্য আর আমাদের পিতৃপুরুষের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির পিলসুজ। যা ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দু'মিনিটের দুনিয়ায়। তাই হে পাঠক, সাবধানে ধরবেন এই 'জঙ্গলগাথা ও রসনাবিলাস'। হাতে রস লাগলে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করবেন না।
Jongolagatha O Rasonabilash
Author : Dhritikanta Lahiri Chowdhury
Publisher : Lyriqal Books