দীর্ঘ ৪৪ বছর পর পুনর্মুদ্রিত হল প্রলয় সেনের 'পশ্চিমবাংলার তীর্থ'। পশ্চিমবঙ্গে মিলেমিশে আছে বিভিন্ন ধর্মের সংস্কৃতি, তারই ফলশ্রুতি এখানে গড়ে ওঠা তীর্থক্ষেত্রগুলি। হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ- জৈন এই সকল ধর্মের স্থাপত্যরীতির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী গড়ে ওঠা, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে থাকা অজস্র তীর্থক্ষেত্রের বিবরণ এই বইতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। তবে কেবলমাত্র তীর্থক্ষেত্রের বিবরণই নয়, এই বইতে রয়েছে মন্দিরের নির্মাণশৈলী ও স্থাপত্যকলার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ। পাশাপাশি রয়েছে বাংলার একাধিক মন্দির, মসজিদ, চার্চ নির্মাণের রাজনৈতিক ইতিহাস, কিংবদন্তি, জনশ্রুতি। বঙ্গের একাধিক রাজবংশের স্থাপত্য নির্মাণের ইতিহাস স্থান পেয়েছে এই বইতে। শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্যের দেবদেবীর অধিষ্ঠান স্থানের বিবরণও আছে এই বইতে যার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বাংলার লোকায়ত বিশ্বাসের চিত্রটি। এই বই যতটা ইতিহাস ও মন্দির স্থাপত্যকলার পাঠকদের ঠিক ততটাই বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের পাঠক, গবেষক ও ভ্রমণপিপাসুদের। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপশি ত্রিপুরার তীর্থক্ষেত্র এবং ত্রিপুরার রাজবংশের ইতিহাসও লিপিবদ্ধ হয়েছে এই বইতে। এই পুনর্মুদ্রণে পূর্বের মতোই অবিভক্ত হিসেবে রাখা হয়েছে চব্বিশ পরগণা ও বর্ধমান জেলাকে।