*What Bengal thinks today, India thinks tomorrow'। আজ থেকে ১০২ বছর আগে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী গোপালকৃষ্ণ গোখলের ঐ কথার সারবস্তুর ওপর সংশয় প্রকাশ করে বলেছিলেন, 'যদি এখন আমাদের গৌরব কিছুই না থাকে এবং পূর্বকালে অত্যন্ত অধিক থাকে তাহা হইলে সে আলোচনা লোককে মাতাইয়া তুলিতে পারে... আমি কেবল প্রাচীন গৌরবেরই কথা আলোচনা করিব। কারণ, সুখের স্মৃতি সকল সময়ই মধুর।' বঙ্গভঙ্গের বিভীষিকা ও দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তর শিক্ষিত বাঙালিকে ভাবাচ্ছিল, প্রয়োজন পড়েছিল নতুন করে পুরাতন গৌরবের আনন্দকুসুম। তাই সময়ের দাবী মেনে শাস্ত্রীমহাশয় বুদ্ধের জন্মের আগে থেকে আরম্ভ করে শীলভদ্র, চৈতন্যদেব, রামপ্রসাদ প্রমুখ বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত কুড়িটি গৌরবের কথা তুলে ধরলেন। এই গৌরবগাথায় স্থান পেয়েছে বহুবিচিত্র দিক- হস্তি চিকিৎসা থেকে ন্যায়শাস্ত্র, বাকলের কাপড়, থিয়েটার- নৌকা জাহাজ থেকে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান এমনকি ভাস্করের কাজও। এ গ্রন্থ প্রায় শূন্য কুম্ভ হয়ে যাওয়া বাঙালির নিজের ঐতিহ্যকে ফিরে দেখা।