ভ্রমণকাহিনী লেখার ব্যাপারে উপেন্দ্রকিশোরের যথেষ্ট আগ্রহ ছিল, তারই প্রমাণ ওঁর 'দার্জিলিং' গ্রন্থটি-আর এবার 'পুরী'। কেমন ছিল একশো বছর আগের শ্রীক্ষেত্র? সেখানকার পথ-ঘাট, মানুষজন, জগন্নাথদেবের মন্দির, সমুদ্রসৈকতের শতবর্ষ পূর্বের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা এই বইয়ের ছত্রে- ছত্রে। এক জায়গায় লিখছেন- "পথে ভুবনেশ্বর স্টেশনের কাছে একটু সতর্ক হওয়া আবশ্যক, কারণ ট্রেন হইতে তথাকার মন্দিরগুলির দৃশ্য দেখিতে খুব সুন্দর। আর খুরদা স্টেশনে নামিয়া যে গাড়ি বদলাইতে হয়, সে কথাটাও না ভুলাই ভালো; কারণ তাহাতে পুরী পৌঁছাইবার ব্যাঘাত হইতে পারে। তবে, আমার দাদা যেরূপ সতর্ক হইয়াছিলেন, এতটা না হইলেও চলিবে। তিনি নাকি বড়ই হুঁসিয়ার লোক!” বাঙালির চিরকালীন পছন্দের তীর্থক্ষেত্র পুরীকে নিয়ে উপেন্দ্রকিশোরের এ-এক অসামান্য গ্রন্থ। সঙ্গে পাতায়-পাতায় শতবর্ষ আগের পুরী শহরের অসংখ্য দুর্লভ আলোকচিত্র! উপেন্দ্রকিশোরের প্রপৌত্র সন্দীপ রায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত এই গ্রন্থ ভ্রমণরসিকদের কাছে অবশ্য সংগ্রহযোগ্য