ক্রাইমিয়ার যুদ্ধে ওয়াল্টার, কলকাতায় বোমা পড়ার সময়কার রসিক, নকশালের সময়কার রেয়াংশ বা এখনকার সিয়োনা আর বিরাজ, এরা সবাই কোথায় যেন এক। কোথায় যেন একে অপরের সঙ্গে বিনি সুতোয় গাঁথা। গল্পের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এমন নানান গল্পকে তুলে ধরে 'সেফটিপিন'। গল্প শুরু হয় একশো চৌষট্টি বছর আগে ক্রাইমিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে। এক বড় অফিসারকে প্রাণে বাঁচিয়েছিল ওয়াল্টার আর তার পুরস্কারস্বরূপ সে পেয়েছিল সোনার ওপর দামি পাথর বসানো এক সেফটিপিন। তারপর দশক শতক ধরে সেই সেফটিপিন ছুঁইয়ে গিয়েছে কখনও মেরি আর রসিককে, কখনও সাহিমা আর রেয়াংশকে। আবার তা কখনও দেখিয়েছে হুলো, স্যাম টুকাইকে। আর সবশেষে তা আবার জেগে উঠেছে সিয়োনো-বিরাজের গল্পে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার প্রাক্-স্বাধীনতার কলকাতা, নকশালের কলকাতা থেকে এখনকার কলকাতায় ঘুরেছে গল্প। বলেছে বিশ্বাসের কথা, বাবা মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের কথা, বলেছে রাজনীতির আবহে টালমাটাল যুবক যুবতীদের কথা। আর সর্বোপরি সে বলেছে ভালবাসার কথা। মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের মন গেঁথে রাখার কথা। এমন করেই বিরাট এক সময়কালকে ভালবাসায় বেদনায় গেঁথে রেখেছে 'সেফটিপিন'।