মাত্র ৪২-৪৩ বছরের জীবনে কুড়িটিরও বেশি উপন্যাস লিখেছিলেন সরসীবালা বসু। সমান্তরালে লিখে গিয়েছেন ছোটগল্প, কবিতা। সরসীবালা যখন কলম ধরেন, তখন বাংলা গদ্যসাহিত্যে, বিশেষ করে উপন্যাস ও ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্রের যুগ। বাংলার বাইরে গিরিডিতে বসে সরসীবালা যে প্রস্থানভূমি থেকে তাঁর রচনা আরম্ভ করেছিলেন, পূর্বজদের কাছে ঋণ থাকলেও সেগুলির মধ্যে 'প্রভাব' কখনোই ক্ষত হিসেবে দেখা দেয়নি। বরং সরসীবালার উপন্যাসে, ছোটগল্পে 'নারী' এক বিশিষ্ট বিষয় হিসেবে উঠে আসে। তাঁর আখ্যানে নারী-পুরুষের সমতা, সমানাধিকারের প্রসঙ্গগুলি এসেছে সাবলীনভাবে। কখনোই সেগুলিকে চাপিয়ে দেওয়া বলে মনে হয়নি। শুধু অধিকারবোধের সাম্য নয়, সরসীবালার রচনায় রোম্যান্সও ধরা পড়েছে অবগুণ্ঠনহীন চেহারায়।