কালকূটের এই নতুন ভ্রমণকাহিনীর স্বাদ যেমন অভিনব, যাত্রাপথ তেমনই গহন। এ-যাত্রা কাঁধে ঝোলা চাপিয়ে ঠেলাঠেলি করে রেলগাড়িতে যাওয়া নয়। এ-যাত্রাতেও বাঁশি বাজে, নিশান ওড়ে। কিন্তু এই আমলের গার্ড-সাহেবের নিশান-বাঁশি সেটা নয়। এ বাঁশি প্রাণের কোথায় যেন বাজে, সুরে ডাক দিয়ে ঘরের বাহির করে নিয়ে যায়। নিশানটা চোখের সামনে ভাসে চিত্রের মতো। রৈবতক পর্বতের কৃষ্ণনীল মহীরুহের মাথা ছাড়িয়ে যেন পতপত করে ওড়ে সেই নিশান। সেই নিশান-বাঁশির ডাকে কালকূটের যাত্রা এবার পুরাণের পথে, দ্বারকানগরীতে। কৃষ্ণ এখানে পার্শ্ব-চরিত্র। কৃষ্ণতনয় অসামান্য নায়ক। কৃষ্ণের ষোলো হাজার রমণী সেই রূপবান বীর শাম্বের-এই ভ্রমণকাহিনীর নায়কের সঙ্গলাভে আকুল। পিতা কৃষ্ণের কানে কথাটা তুললেন দেবর্ষি নারদ। পিতার বিচিত্র অসূয়া তাই অভিশাপ হয়ে নেমে এল পুত্র শাম্বের জীবনে। সেই অভিশপ্ত জীবন থেকে কী করে মুক্ত হলেন শাম্ব সেই অসামান্য কাহিনীই শুনিয়েছেন কালকূট তাঁর এই নতুন ভ্রমণোপন্যাসে।