Shitalsamhita
Shitalsamhita
নিহিংসন মুক্ত নয় পুরবৈয়া অধ্যাত্মিক আচারবিধি। লুনামাটিতে মণিপুরী তান্ত্রিকেরা রান্না করেন বনময়ূরের মাংস। দুধে ভেজানো চড়ুইয়ের মাংস খান বামদেব বাবার শিষ্য তারাখ্যাপা। নীলাচল পাহাড়ে মায়ের জন্য রান্না হয় মাংসের কুচির খিচুড়ি।
বর্ষা শুরুর সময় তান্ত্রিকেরা ডাহুক পাখি বলি চড়িয়ে রাঁধেন জিরে ধনে আদা মরিচ দিয়ে, কাছিমের মাংস খান রাই সরষে বেটে, ছাগ বলির মেটুলি রান্না হয় এক প্রহর রোদে রেখে মৃদু আঁচে, ঘিয়ে পাক করে- মেশানো হয় মধু। জ্বরের প্রকোপ কম হয় জলা থেকে কাঁকড়া ধরে তিলবাটা দিয়ে খেলে। পাখির মাংসে মেদ কম আসে বলে তান্ত্রিকেরা কোয়েল, বুনো পায়রার মাংসকে প্রসাদী হিসেবে ব্যবহার করেন। একশো কুড়ি পেরোনো দয়াল বাবা বলেন, দেহ যতখানি পরিপাক করার জন্যে প্রস্তুত তার থেকে বেশি গ্রহণ করতে থাকলে প্রথমে ক্লান্তি আসে, পরে ধরে ব্যাধি।
হঠযোগিরা ঠান্ডা খাবার গরম করে কখনও খান না। ঘেরণ্ড ঋষি বলেন, যোগকালীন সময় নুন, লংকা, তেলের খাবার না খেতে। দত্তাত্রেয় মুনি বারণ করেন শুকনো রুটি, টক খেতে। সাধু যোগিরা ভাত খাওয়ার আগে বা পরে ফল খান না। সাধুর ডেরায় খাদ্যাখাদ্যের বিচারে ফিরে দেখা চলে স্কন্ধপুরাণ, গরুড় পুরাণ, সুশ্রুত, চরক ও স্বাত্মারাম স্বামীর পুথিপাতরা। শীতলসংহিতা ভারতীয় অধ্যাত্মবাদ ও খাদ্য- সংস্কৃতির অশক্যচারণ এবং গুপ্তভাবে জায়মান দেশীয় পরম্পরার আহেল সংযোজন ।
Shitalsamhita
Author: Somabrata Sarkar
Publisher : Lyriqal Books