নর্মদার আশীর্বাদ ধন্য মহামুনি মার্কণ্ডেয়, মহর্ষি ভৃগু, কপিল, কর্দম, পিয়লাদ, অণীমাগুরা শুর প্রাচীন যুগের ব্রহ্মর্ষিগণ আর এযুগের কমলভারতীজী, গৌরীশঙ্করজী, গঙ্গোনাথের ব্রহ্মানন্দ রক্ষার তদীয় শিষ্য বালানন্দ ব্রহ্মচারী এবং মায়ানন্দ সরস্বতী প্রভৃতি সকল নর্মদা পরিক্রমাকারী অগ্রজ তপস্বীবৃন্দ ধূল্যবলুণ্ঠিত প্রণাম জানাই। সেইসঙ্গে আশীর্বাদ জানাই বৈদিক রিসার্চ ইনষ্টিট্যুটের (অধুনা অবলুপ্ত) সেইসব সভ্যবৃন্দকে। জ মাসের পর মাস রোদ, জল, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিয়মিতভাবে ধৈর্য ধরে শংকরকন্যা নর্মদা আ নর্মদেশ্বর শিবসুন্দরের পুণ্য কথা শুনেছিলেন। যাঁরা তাঁদের বহুমূল্য সময় নষ্ট করে, যথেষ্ট আর্থিক ক্ষ সত্ত্বেও আমার প্রতিটি কথা টেপ রেকর্ডে ধরে রেখেছিলেন এবং প্রতিদিন তাদের নিজস্ব কাজ উপের করে টেপ রেকর্ড-বিধৃত আমার সেইসব বক্তৃতামালা খাতার পর খাতা ভর্তি করে টুকে ফেলেছেন তারপর সহসা একদিন শ্রীমান আনন্দ সেই খাতাগুলি আমার সামনে উপস্থিত করে আবদার বা বই জানালো- 'তোমার ওপর দাদুর হুকুম ছিল, নর্মদা পরিক্রমার কথা পুস্তকাকারে প্রকাশ করতে।' তাঁরা তাকে সমান আগ্রহে ইন্ধন যোগাতে লাগলো। এদের ভালবাসার তাপ এবং চাপ এমনই অপ্রতিরোধ যে আমি নর্মদার কাহিনী গ্রন্থাকারে প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি এবং তার ফলে ১৯৫২ সাল থেকে যে সকল পুণ্য ঘটনা স্মৃতির কোটরে স্বীয় ইষ্টমন্ত্রের মত গোপনে এতকাল লালন, মনন ও রোমন্থন করে এসে তা' আজ সকলের সামনে আত্মপ্রকাশ করছে।