জ্যোতিরিন্দ্রনাথের পোর্ট্রেট আঁকা শুরু হয়েছিল মণিরামপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট প্রতাপ নারায়ণ সিংহের বাংলোয়। শিলং-এর 'জিৎভূম' বাংলোয় রবীন্দ্রনাথ লিখতে শুরু করেছিলেন 'রক্তকরবী', খড়দহের বাগানবাড়িতে 'মালঞ্চ' আর 'শেষের কবিতা' শেষ হয়েছিল ব্যাঙ্গালোরের 'ব্যালাক্রয়ি' বাগানবাড়িতে। সারা ভারত জুড়ে রবীন্দ্রনাথ যে কতো শত বাগানবাড়ি, বাংলো, রাজপ্রাসাদে দিন কাটিয়েছেন তার হিসাব মেলা ভার। বেলগাছিয়া ভিলা থেকে বারুইপুরের বাগানবাড়ি, কোন্নগর বাগানবাড়ি থেকে শান্তিধাম, সত্যধাম, হিতাবাস- কতো যে বাগানবাড়ি ছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির, তার ইয়ত্তা নেই। আবার বেশ কিছু বাগানবাড়ি লীজও নিয়েছিলেন ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা। এছাড়া নানা সময়ে নানা কারণে অজস্র বাগানবাড়িতে ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের পায়ের ধুলো পড়েছে। কেমন ছিল ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের সেইসব বাগানবাড়ির দিনগুলি! অজস্র ঘটনা, গানবাজনা, সভা, কতো সাহিত্যসৃষ্টির সাক্ষী ছিল সেইসব বাগানবাড়ি। ঠাকুরপরিবারের স্মৃতিবিজড়িত প্রায় দুশোটি বাগানবাড়ির কথা গ্রন্থিত হয়েছে এই বইতে।